কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের গোত্রাশাল নামক স্থানে চলন্ত ট্রেনে ডাকাতি করার সময় ডাকাতদের হাতে নিহত সেনাবাহিনীর সদস্য আবদুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪ জন আসামিকে ফাঁসি এবং একজনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত। এছাড়া মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত প্রত্যোক আসামিদেকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান এই রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও এপিপি এড. শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার।
এপিপি এড. শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও এলাকার হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান (২৪) সেনা সদস্য হিসেবে বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর বাড়ি থেকে বগুড়া সেনানিবাসে যোগদানের উদ্দেশ্যে ট্রেন অথবা বাসে রওনা হন। পরদিন ২২ অক্টোবর আবদুর রহমানের পরিবার জানতে পারে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণ গোত্রশাল দিঘীর পশ্চিম পাশে কাটা জখম অবস্থায় লাশ পড়ে আছে। পরে লাকসাম রেলওয়ে থানার সেনা সদস্য আবদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। ওইদিন আবদুর রহমানের বাবা হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতার করে।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর বাদারিয়া কালোনী এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪০), চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ উপজেলার চন্দন কলাবাগান এলাকার মৃত রফিক মিয়ার ছেলে জনি (২৩), বাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার উথারিয়া পাড়া এলাকার মো রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (২০) এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মশাখালী এলাকার আকাশী দাসের ছেলে প্রদীপ দাস (২২)।
এছাড়া ১০ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বাসুদেব এলাকার মৃত লাহু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাছ (৩৫)। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। অন্য সকল আসামী রায় ঘোষনার সময় উপস্থিত ছিলেন আদালতে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page